ঢাকা ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মদনে প্রাণিসম্পদের উদ্যোগে মোরগ ও ছাগলের খাদ্য বিতরণ ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন শিক্ষক রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা মদনের এ.ইউ.খান উচ্চ বিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ

একটি লাখ টাকার পাখি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৭
  • ১৪১৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইমারতে ঘেরা শহরে কাক-চড়াই ছাড়া আর কোনো পাখির দেখা পাওয়াটা কঠিন। অবশ্য সব পাখি ধরাও যায় না, পালাও যায় না। আবার ঘরে পালার পাখি আছে, যাদের জাতই আলাদা। এদের বলে কেইজ বার্ড।

কেউ কেউ আছেন যাদের ভীষণ শখ পাখি পোষার। তারা ঘরেই পাখি পালেন। এই  পাখিপ্রেমীদের শখ পূরণ করতে রাজধানী জুড়ে রয়েছে অনেক পাখির দোকান। তবে রাজধানীর কাঁটাবন এ ধরনের পাখি পাওয়ার নির্ভরযোগ্য একটা জায়গা।

কাঁটাবন এলাকায় পৌঁছতেই কানে আসবে পাখির কিচিরমিচির। বেশ কিছু দোকান আছে যারা কেইজ বার্ড বিক্রি করে। এসব পাখির দোকানে তাকাতেই চোখে পড়বে শত রকমের পাখি। যদিওবা কবুতর ছাড়া সেখানে দেশীয় আর কোনো পাখির সন্ধান মেলে খুব কম। তবে খোঁজ পাবেন লাভবার্ডস, বাজরিকা, টার্কি, কোয়েল, তিতিরসহ শত রকমের পাখি।

ঘুরতে ঘুরতে যখন শুনবেন একটি পাখির দাম দুই লাখ ২০ হাজার টাকা তখন বুঝতে হবে শৌখিন পাখিওয়ালাদের শখের পাল্লাটা বেশ ভালোই ভারী। লাখ টাকার সেই পাখির নাম ম্যাকাও। গড়ন ও চেহারা অনেকটাই টিয়া পাখির মতো। তবে এর আকার বেশ বড়। জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। ধারালো ঠোঁট ও নখের অধিকারী পাখিটি বেশ আক্রমণাত্মক। তাই, খাঁচার ভেতরে থাকা অবস্থাতেও পায়ে শিকল পরিয়ে রাখা হয়েছে। পাখিটির চোখের পাশে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো ডোরাকাটা। প্রায় দুই ফুট লম্বা পাখিটির পেটের দিকটা হলুদ ও পিঠের দিকটা নীল বর্ণের। মাথার উপরের কিছুটা অংশ সবুজ।

কাঁটাবন ৮ নম্বর দোকানটির নাম জাহাঙ্গীর এন্টারপ্রাইজ। সেখানেই দেখা মিলবে পাখিটির। এ ছাড়া রয়েছে কাকাতুয়া, যার এক জোড়ার দাম সাড়ে তিন লাখ টাকা।

জাহাঙ্গীর এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জাহাঙ্গীর মোল্লা হাওর বার্তাকে বলেন, ‘ছোট পাখির পাশাপাশি আমরা এই ধরনের দামি পাখিও বিক্রি করি। কেননা এদের কাস্টমার আছে। দেশেও বিক্রি হয়। আবার ইন্ডিয়াতেও যায়। সব সময় অবশ্য এত দামি পাখির খদ্দের পাওয়া যায় না। দামি পাখি, সহজে তো বিক্রি হয় না। অনেক সময়ই লস হয়। দুই-তিন মাস দোকানে রাখতে হয়। কখনো কখনো পাখিই মারা যায়। তখন বিনিয়োগই যায়।’

কিনতে না পারলেও চোখের দেখা দেখতে অনেকেই ভিড় জমান। পুরনো ঢাকার নাজিরাবাজার থেকে দীপ্ত আহমেদ এসেছেন কাঁটাবনে পাখি কিনতে। কিনেছেন ছয়টি লাভবার্ডস। এখন দেখছেন লাখ টাকার পাখি।

হাওর বার্তাকে দীপ্ত বলেন, ‘ভাই, এত দামি পাখি কিনার সাধ্য তো আমাদের নাই। দেখে যাই। যখন এদিকে আসা পড়ে একবার করে ঘুরে যাই। দেখি নতুন কী এল। দেখতে তো আর টাকা লাগে না।’

শুধু ম্যাকাও কিংবা কাকাতুয়া নয়, কাঁটাবনে দেখা মিলবে গ্রে-প্যারট, কাকাতুয়া, গালা কাকাতুয়া, লক্ষণ কাকাতুয়া, গ্রেনেস ম্যাকাও, স্টেনেস ম্যাকাও, এলিকটাস-এর মতো দামি দামি পাখি। আর এ পাখিগুলো নিজের খাঁচায় আনতে হলে পাখিপ্রতি গুনতে হবে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মদনে প্রাণিসম্পদের উদ্যোগে মোরগ ও ছাগলের খাদ্য বিতরণ

একটি লাখ টাকার পাখি

আপডেট টাইম : ০১:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইমারতে ঘেরা শহরে কাক-চড়াই ছাড়া আর কোনো পাখির দেখা পাওয়াটা কঠিন। অবশ্য সব পাখি ধরাও যায় না, পালাও যায় না। আবার ঘরে পালার পাখি আছে, যাদের জাতই আলাদা। এদের বলে কেইজ বার্ড।

কেউ কেউ আছেন যাদের ভীষণ শখ পাখি পোষার। তারা ঘরেই পাখি পালেন। এই  পাখিপ্রেমীদের শখ পূরণ করতে রাজধানী জুড়ে রয়েছে অনেক পাখির দোকান। তবে রাজধানীর কাঁটাবন এ ধরনের পাখি পাওয়ার নির্ভরযোগ্য একটা জায়গা।

কাঁটাবন এলাকায় পৌঁছতেই কানে আসবে পাখির কিচিরমিচির। বেশ কিছু দোকান আছে যারা কেইজ বার্ড বিক্রি করে। এসব পাখির দোকানে তাকাতেই চোখে পড়বে শত রকমের পাখি। যদিওবা কবুতর ছাড়া সেখানে দেশীয় আর কোনো পাখির সন্ধান মেলে খুব কম। তবে খোঁজ পাবেন লাভবার্ডস, বাজরিকা, টার্কি, কোয়েল, তিতিরসহ শত রকমের পাখি।

ঘুরতে ঘুরতে যখন শুনবেন একটি পাখির দাম দুই লাখ ২০ হাজার টাকা তখন বুঝতে হবে শৌখিন পাখিওয়ালাদের শখের পাল্লাটা বেশ ভালোই ভারী। লাখ টাকার সেই পাখির নাম ম্যাকাও। গড়ন ও চেহারা অনেকটাই টিয়া পাখির মতো। তবে এর আকার বেশ বড়। জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। ধারালো ঠোঁট ও নখের অধিকারী পাখিটি বেশ আক্রমণাত্মক। তাই, খাঁচার ভেতরে থাকা অবস্থাতেও পায়ে শিকল পরিয়ে রাখা হয়েছে। পাখিটির চোখের পাশে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো ডোরাকাটা। প্রায় দুই ফুট লম্বা পাখিটির পেটের দিকটা হলুদ ও পিঠের দিকটা নীল বর্ণের। মাথার উপরের কিছুটা অংশ সবুজ।

কাঁটাবন ৮ নম্বর দোকানটির নাম জাহাঙ্গীর এন্টারপ্রাইজ। সেখানেই দেখা মিলবে পাখিটির। এ ছাড়া রয়েছে কাকাতুয়া, যার এক জোড়ার দাম সাড়ে তিন লাখ টাকা।

জাহাঙ্গীর এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জাহাঙ্গীর মোল্লা হাওর বার্তাকে বলেন, ‘ছোট পাখির পাশাপাশি আমরা এই ধরনের দামি পাখিও বিক্রি করি। কেননা এদের কাস্টমার আছে। দেশেও বিক্রি হয়। আবার ইন্ডিয়াতেও যায়। সব সময় অবশ্য এত দামি পাখির খদ্দের পাওয়া যায় না। দামি পাখি, সহজে তো বিক্রি হয় না। অনেক সময়ই লস হয়। দুই-তিন মাস দোকানে রাখতে হয়। কখনো কখনো পাখিই মারা যায়। তখন বিনিয়োগই যায়।’

কিনতে না পারলেও চোখের দেখা দেখতে অনেকেই ভিড় জমান। পুরনো ঢাকার নাজিরাবাজার থেকে দীপ্ত আহমেদ এসেছেন কাঁটাবনে পাখি কিনতে। কিনেছেন ছয়টি লাভবার্ডস। এখন দেখছেন লাখ টাকার পাখি।

হাওর বার্তাকে দীপ্ত বলেন, ‘ভাই, এত দামি পাখি কিনার সাধ্য তো আমাদের নাই। দেখে যাই। যখন এদিকে আসা পড়ে একবার করে ঘুরে যাই। দেখি নতুন কী এল। দেখতে তো আর টাকা লাগে না।’

শুধু ম্যাকাও কিংবা কাকাতুয়া নয়, কাঁটাবনে দেখা মিলবে গ্রে-প্যারট, কাকাতুয়া, গালা কাকাতুয়া, লক্ষণ কাকাতুয়া, গ্রেনেস ম্যাকাও, স্টেনেস ম্যাকাও, এলিকটাস-এর মতো দামি দামি পাখি। আর এ পাখিগুলো নিজের খাঁচায় আনতে হলে পাখিপ্রতি গুনতে হবে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা।